নবাবগঞ্জে ডাকাতদের দৌরাত্ম্য
গত রাত আনুমানিক ১টা থেকে ২টার ভেতর নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া ইউনিয়নের হাগ্রাদী গ্রামের আব্দুল জলিলের বাড়ীতে (ইট/বালু ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম মিয়ার বাড়ীর পাশের বাড়ীতে) গ্রীল কেটে ভয়ংকর ডাকাতি সংগঠিত হয়।
জনমনে প্রশ্ন - এমন চলতে থাকলে কিভাবে শান্তিতে বসবাস করবো!! পুলিশের বা প্রশাসনের কি কোনই ভূমিকা থাকবেনা। নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলে এই ধারা নিয়মিত হয়ে আসছে।
অনেকের ধারনা নেশার সাথে সংশ্লিষ্ট বেকার বখাটেদের কাজ? ইয়াবা, গাজা এমন নেশার সাথে ও ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরাই এসব ঘটাচ্ছে। যার কারনে এলাকায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে। স্বউদ্যোগী হয়ে পুলিশ প্রশাসন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখলে নিশ্চই এর প্রতিকার সম্ভব।
অনেকে আবার এলাকায় পাহাড়া বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলছে। কথা হলো- পাহাড়া দিয়ে চোর ডাকাত প্রতিহত করা যাবে কতক্ষণ?
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক প্রশাসনের সদা জাগ্রত ভূমিকাই হতে পারে এর প্রতিকার।
মনে রাখতে হবে - আজ একজনের বাড়ীতে হয়েছে, কাল যে আপনারা বাড়ীতে হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়!!!
আসুন সবাই এগিয়ে আসি- নেশাগ্রস্ত ও সমাজের জন্য বিপদজনক এমন মানুষ ও তার পরিবারের সাথে কনসার্ন করি - সামাজকে শুদ্ধ করি, বাসযোগ্য করি।
এবং এই নেশার সাথে ও এই অবৈধ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিরো টলারেন্সি দেখাই। ইনশাআল্লাহ আগামীতে চোর ডাকাতির মতো অপরাধ কমে যাবে।
পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট ডাকাতির সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য।


0 Comments